অবৈধ বিদেশগামী ২৮৫৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

প্রকাশ: ২৫ মে, ২০১৭ ০৪:২০ , আপডেট: ২৫ মে, ২০১৭ ০৪:২৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার।

ইমাম খাইর, সিবিএন
২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী অবৈধ উপায়ে বিদেশগামী ২৮৫৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এসব লোকদের আত্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে। তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের কাজ চলছে। বিদেশগামীরা দেশের সম্পদ বটে। তবে, সেটা হতে হবে বৈধ পথে।
নিয়মিত বিদেশগামীদের কাছ থেকে ২০১০ সালে ১০.৮৫, ২০১২ সালে ১৪.০৯ এবং ২০১৫ সালে ১৫.০৮ ইউএস ডলার রেমিটেন্স অর্জিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে কক্সবাজার জেলার অভিবাসীদের স্থানান্তরের কারণ অনুসন্ধানমূলক কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
কর্মশালার গ্রুপ আলোচনায় ওঠে আসে- ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী অস্বচ্ছল ও অল্প শিক্ষিত পুরুষেরাই বিদেশ পাড়ি জমায়। জীবন মান উন্নয়নের স্বপ্নে সাধারণ উন্নত ও অর্থনৈতিক স্ববলম্বি দেশেই বেশীর ভাগ মানুষ যেয়ে থাকে। অবৈধ পথে নয়, নিরাপদ তথা সরকারী নিয়মানুসারে বিদেশগামীরাই শতভাগ পৃষ্টপোষকতা পেয়ে থাকে।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অর্ধ দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-ইপসা।
আলোচনায় বলা হয়- বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা লেনদেন করতে গিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। কারো জীবনও বিপন্ন হয়েছে। নিরাপদ অভিবাসনে সরকার শতভাগ সহযোগিতা দেয়। কাজেই কোন ব্যক্তি যাতে অবৈধ পথে ভিন দেশে পাড়ি না জমায় সে বিষয়ে খেয়ালরাখতে হবে। নিরাপদ অভিবাসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থা- আইওএম এর সার্বিক সহযোগিতায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার।
স্বাগত বক্তৃতা ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে অভিবাসন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত্ব উপস্থাপন করেন আইওএম এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার লুৎফুল কবির।
তিনি জানান, অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া কোনভাবেই সুখকর নয়। অবৈধ বিদেশগামীদের কারণে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ সময় তিনি অভিবাসনের উপর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
জেলা জনশক্তি অফিসের উপপরিচালক (ডিডি) রমিয়ন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন ইপসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রিতম কুমার চৌধুরী, ইপসার টীম লিডার খালেদা বেগম, প্রেগ্রাম ম্যানেজার জসিম উদ্দিন, কো-অর্ডিনেটর ওমর ছাদেক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জিসু বড়ুয়া ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির কো-অর্ডিনেটর এম. এরশাদুজ্জামান।